GMAT এর প্রস্তুতির জন্য ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো :

Reading Time: 6 minutes
Contents hide

আপনার ভুলগুলো ট্র‍্যাক করুন: 

প্রস্তুতির প্রথম দিন থেকেই কোন বিষয়গুলো নিয়ে আপনার আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভালো, কোথায় কোথায় আটকাতে হচ্ছে সেগুলোর একটা লিস্ট করে নিতে পারেন । GMAT এ বেশ কয়েক ধরনের ডিফিকাল্টি লেভেল রয়েছে, ৫০০ লেভেলের প্রশ্নগুলো যেন সহজেই সলভ করা যায় সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করুন । দুই একটা ক্যাটাগরির প্রশ্ন আপাতত  না ধরে অন্য প্রবলেমগুলোতে ফোকাস করার জন্য সময় বাঁচাতে পারেন। ভালো হয় এটা নিয়ে একটা জার্নাল বানিয়ে এবং নিয়মিত জার্নালিং GMAT প্রস্তুতির জন্য খুবই হেল্পফুল হবে ।

দীর্ঘ সময় মনোযোগ ধরে রাখার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন :

সোশ্যাল মিডিয়ার মতো ডিস্ট্র‍্যাকশনের এই যুগে আমাদের মনোযোগ এদিক ওদিক হয়েই যায়।  GMAT এক্সামে ২১০ মিনিটের একটা তীব্র ফোকাসের প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে কোয়ান্টিটিভ আর ভার্বাল সেকশনের জন্য।  মনোযোগ যেন না হারায় এটা ঠিক রাখার জন্য মানে এ বিষয়টি মাথায় রেখে পড়াশোনার চেষ্টা করুন এবং পড়াশোনার জন্য আলাদা করে নেয়া সময়টায় চেষ্টা করুন ফোন বন্ধ রাখতে অথবা ফোনটা অন্য রুমে রাখতে।  সারাদিনে ছোট ছোট যেটুকু সময় বের করা যায় যেমন কোথায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে বা যানবাহনে বসে যেটুক সময় পাওয়া যাচ্ছে সে সময়গুলোতে কিছু প্রশ্ন সলভ করে ফেলতে পারেন বা এ সংক্রান্ত এডুকেশনাল ভিডিও দেখে সময়টাকে আরো প্রোডাক্টিভ করতে পারেন। 

আগ্রহী ইংরেজি পাঠক হওয়ার চেষ্টা করুন : 

যদিও আমার ভার্বাল স্কোর তেমন ইম্প্রুভ করেনি , তবে আমি আমার মক টেস্টগুলোতে বেশ ভালো ফলাফল লক্ষ্য করেছিলাম যখন আমি কম্পলেক্স সেনটেন্সে ব্যবহার করে লেখা ইংরেজি আর্টিকেল পড়তাম। আমি রেকমেন্ড করব নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে আপনি “The Best American Science and Nature Writing” বই ও এ জাতীয় অন্যান্য বই পড়তে পারেন। যদি আপনি কিছু টপিক পড়তে স্ট্রাগল করেন reading comprehension এর ক্ষেত্রে, যেমন হতে পারে এস্ট্রনমি বা বায়োলজি  চেষ্টা করুন এই টপিকগুলোর উপর কমপ্লেক্স করে লেখা আর্টিকেলগুলো পড়তে। এই প্র‍্যাক্টিসটা ভার্বাল সেকশনে আপনার পারফরম্যান্স বাড়াতে খুবই সহায়ক হবে।  

পড়াশোনার মোট সময়ের ৮০% বরাদ্দ করুন প্র‍্যাক্টিসের জন্য:

যদিও GMAT প্রিপারেশনের উপর প্রচুর লেখালেখি ও ভিডিও আছে , মনে রাখবেন যে প্রচুর প্র‍্যাক্টিস করা এক্সামে ভালো করার ক্ষেত্রে খুবই দরকার । কনসেপ্ট সম্পর্কে কোনো রকম ধারণা থাকা পরীক্ষার অই সীমাবদ্ধ সময়ে যথেষ্ট না। সময়স্বল্পতার প্রেশারের মধ্য দিয়ে প্রবলেম সলভিং স্কিল বাড়িয়ে আপনার জ্ঞান ও পরীক্ষা চলাকালীন দক্ষতাকে আরো দৃঢ় করতে পারেন। 

পড়ার বিষয়গুলো গুছিয়ে নেয়া: 

 GMAT এর সেকশন অনুযায়ী ক্যাটাগরির যে ডিফারেন্স হয় সেগুলো ভালো করে বোঝার চেষ্টা করুন। নানা ধরনের ডিফিকাল্টি লেভেলের প্রশ্ন সলভ করার চেষ্টা করে আপনার স্ট্রেন্থ ও উইকনেস সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখুন । অরিজিনাল GMAT Questions বা Official Guide Questions দিয়ে প্র‍্যাক্টিস করুন যেহেতু এগুলোই চূড়ান্ত এক্সামের ক্ষেত্রে আপনি কি ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন তার নির্ভরযোগ্য উদাহরণ। আর আপনার পারফরম্যান্স ও টার্গেট স্কোরের উপর ভিত্তি করে আপনার পড়াশোনার স্ট্র‍্যাটেজিকে প্রায়োরিটি দিন এবং নিয়মিত আপডেট করুন। আপনি যদি ৬০০- লেভেল স্কোর পেতে চান তবে ফোকাস করুন ৫০০ এবং ৬০০- লেভেল প্রশ্নের উপর। 

এখানে আরো কিছু টিপস দেয়া হলো যেগুলো GMAT এ সাফল্যের জন্য সহায়ক হবে

আপনার জিম্যাটের পড়াশোনা গুছিয়ে নেয়ার কিছু টিপস:

প্রশ্নের ক্যাটাগরির সাথে পরিচিত হোন: 

জিম্যাট এক্সামের প্রতিটা সেকশনেই একাধিক ক্যাটাগরির প্রশ্ন থাকে। তাই ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরির প্রশ্ন সলভ করে আপনার দুর্বলতা কোথায় সেগুলো খুঁজে বের করতে পারেন, একইসাথে কোথায় আপনি ভালো করছেন সেটা সম্পর্কেও জানা থাকবে । আমি বিভিন্ন ডিফিকাল্টি লেভেলের প্রশ্ন দিয়ে রেখেছি (৫০০,৬০০, এবং৭০০) যেন আপনি এ ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা পান। চাইলে সেগুলোও এক্সপ্লোর করে দেখতে পারেন। 

অফিশিয়াল জিম্যাট প্রশ্নের দিকে ফোকাস করুন: 

যখন প্র‍্যাক্টিস করবেন, প্র‍্যাক্টিসের ক্ষেত্রে original GMAT Questions বা Official Guide (OG) questions থেকেই প্র‍্যাক্টিস করা উচিত। কিছু কোম্পানি যারা জিম্যাট প্রিপারেশন রিলেটেড কোয়েশ্চেন পেপার বের করে তারা সেগুলো প্রমোট করার জন্য অনেক অহেতুক জটিল প্রশ্ন দিয়ে রাখে , তাই ওসব করে মাথা নষ্ট না করে Official guide থেকেই প্রশ্ন সলভ করুন ।

পড়ার স্ট্র্যাটেজি আপনার স্ট্রেন্থ এবং উইকনেসের ভিত্তিতে কাস্টমাইজ করুন:

বিভিন্ন এরিয়াগুলোতে আপনি কেমন পারফর্ম করছেন তার একটা র‍্যাঙ্কিং করা এবং প্রতিনিয়ত পড়াশোনার স্ট্র্যাটেজি পরিস্থিতি অনুযায়ী বদলানো বা আপডেট করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ । আমি আমার দুইটা ডিসিশন শেয়ার করছি যা আমার পারফর্ম্যান্সে খুব ইম্প্যাক্ট রেখেছিল। প্রথমত , আমার সেকেন্ড এটেম্পটের প্রিপারেশনের সময়  আমি খেয়াল করলাম আমি ভার্বাল সেকশনে কন্সিস্টেন্টলি ভাল স্কোর পাচ্ছি। তাই আমি ডিসাইড করলাম ভার্বাল সেকশন নিয়ে আর না পড়তে এবং ম্যাথ প্রবলেমগুলোতেই ফোকাস দেয়া শুরু করলাম । দ্বিতীয়ত , সেকেন্ডবারের জন্য এক্সাম দেয়ার শেষ সপ্তাহে আমি Data Sufficiency নিয়ে বেশ স্ট্রাগল করছিলাম । তাই আমি পুরো দুইদিন এটার পিছে ডেডিকেটেড করে দিলাম যেন এই এরিয়াতে আমার স্কিল ইম্প্রুভ করে । এগুলো তো মাত্র দুইটা উদাহরণ অনেকগুলোর মধ্যে যা আমাকে করতে হয়েছিল এবং যেগুলো আমাকে বেটার পারফরমেন্সে হেল্প করেছিল। আপনার অ্যাপ্রোচ যেন আপনার নীডস ফিল আপ করে এ ব্যাপারে শিউর থাকার চেষ্টা করবেন, যেন অনেক ভালো স্কোর পেতে সাহায্য করে। 

কোনো বিষয়ে ইম্প্রুভমেন্টের জন্য নানা ধরনের রিসোর্সের খোঁজ করুন :

আপনি যদি কোনো ক্যাটাগরিতে বার বার চ্যালেঞ্জ ফেইস করতে থাকেন, বিভিন্ন ধরনের সোর্স চেক করলে আপনার পার্টিকুলার প্রবলেমটা বুঝতে আরো সহজ হবে যেমন রীডিং ম্যাটেরিয়ালস বা ভিডিওসহ অন্যান্য যা কিছু আছে। এখানে লক্ষ্য হলো কোনো কনসেপ্ট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা অর্জন করতে থাকা যতক্ষণ না এই এরিয়াতে আপনি কনফিডেন্ট ফিল করতে পারছেন। 

স্টাডি ম্যাটেরিয়ালস :

স্টাডি ম্যাটেরিয়ালস নিয়ে আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা: 

আমি আসলে নিজে Manhattan Prep বা জিম্যাট প্রিপারেশনের জন্য অন্য কোনো বই ব্যবহার করিনি। কানাডায় জিম্যাটের বইয়ের দাম খুব বেশি আর আমি আমার আশেপাশে কোথাও সেকেন্ড হ্যান্ড বই পাওয়া যায় এমন কিছুর খোঁজ পাইনি। যদিও আমার মনে হয়েছে প্রিপারেশন রিলেটেড বই থাকলে হয়তো আমার প্রিপারেশন আরো ভালো হতো। 

যে টাইম ম্যানেজমেন্ট প্র‍্যাক্টিসগুলো জিম্যাট প্রিপারেশনের সবচেয়ে ভাল: 

টাইমার ব্যবহার করুন

প্রশ্ন সলভ করার সময় টাইমের ব্যাপারটা মাথায় রাখা খুব জরুরি। যে টপিকগুলো আপনি ভালো পারেন সেগুলোর প্রশ্ন এক মিনিটের মধ্যেই সলভ করার অভ্যাস করুন। যা আরো চ্যালেঞ্জিং প্রশ্নের উত্তর করার ক্ষেত্রে সময় বাঁচাবে।

বুঝেশুনে সময় ভাগ করে নিন: 

কোয়ান্ট সেকশনের ৩১টা প্রশ্নের উত্তর করার জন্য আপনাকে সময় দেওয়া হবে ৬২ মিনিট। চেষ্টা করবেন গড়ে দুই মিনিটে এক একটা প্রশ্নের উত্তর করার। কিন্তু সাথে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে কিছু প্রশ্ন থাকে যা একটু জটিল হয়, যেগুলোর উত্তর করতে ২.৫-৩ মিনিট এমনকি ৩.৫ মিনিটও লেগে যায়। বুদ্ধিমানের কাজ হবে যদি প্রতি পাঁচটা প্রশ্নের জন্য ১০ মিনিট করে সময় ধরেন। 

ভার্বাল টাইমিং সাজেশন : 

ভার্বাল সেকশনের টাইমিং নিয়ে আমি নিজেও বেশ স্ট্রাগল করেছি, এটার ক্ষেত্রে আমার কোন স্ট্রং সাজেশন নেই। যদিও ৫ টা প্রশ্নের গ্রুপ করে তাতে কেমন সময় লাগতে পারে তা ভাগ করে নিলে ভালো হতে পারে এক্ষেত্রে। 

মিনিমাম ও ম্যাক্সিমাম টাইম লিমিট ঠিক করে নেয়া :

বাজে ডিসিশন এড়াতে এবং সময় অতিরিক্ত খরচ করার ট্র‍্যাপে পড়তে না চাইলে প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর করার ক্ষেত্রে মিনিমাম টাইম লিমিট, যেমন – ৪০ সেকেন্ড ঠিক করে নেয়া ভালো যেন আপনি সবগুলো প্রশ্ন দেখার সময় পান। অবশ্যই একটা প্রশ্নে সর্বোচ্চ কতটুকু টাইম দিবেন সেটাও ঠিক করে রাখুন যা স্পিড ঠিক রাখতে সাহায্য করবে এক্সামে। কোনো কোনো প্রশ্ন সলভ করার ক্ষেত্রে টাইম লিমিট পার হয়ে যেতে পারে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে ওভারঅল টাইম ম্যানেজমেন্টের বিষয়টা ঠিক রাখা। 

রিয়েলিস্টিক এক্সাম কন্ডিশন কেমন হবে সেটা মাথায় রাখুন: 

জিম্যাট এক্সাম দেয়ার আগে মক এক্সামগুলো দেয়া অনেক ভালো প্র‍্যাক্টিস  হতে পারে। এটা আপনাকে স্পেসিফিক টাইমিং এবং পরিস্থিতি এডাপ্ট করতে হেল্প করবে। আপনার এনার্জি আর মনোযোগের ব্যাপারেও স্বচ্ছ ধারণা দিবে। 

মক এক্সামের গুরুত্ব :

প্রথম এটেম্পট হিসেবে জিম্যাট দেয়ার আগে আমি মক টেস্ট দিয়েছিলাম MBA dot com এবং অন্যান্য ফ্রি মক সাইট থেকে। যাই হোক, আমার দ্বিতীয় এটেম্পটের ক্ষেত্রে আমি মক টেস্টগুলোর ভ্যালু বুঝতে পারি এবং ৩-৬ টার মতো মক টেস্টে ইনভেস্ট করি। যদিও টেস্টগুলো চিপ ছিল না, এগুলো ওর্থ ইট হবে যদি আপনার বাজেট থাকে এবং আপনি হাই স্কোরের টার্গেট রাখেন। কিন্তু অনেকেই এসব এক্সট্রা মক টেস্ট দেয়া ছাড়াও মেইন এক্সামে হাই স্কোর পেয়েছেন, তাই মক টেস্ট দিবেন কি দিবেন না এই ডিসিশনটা আপনার পার্সোনাল অবস্থার উপর নির্ভর করে। আপনি যদি Magoosh থেকে মক টেস্ট কিনেন, তবে ডিসকাউন্ট পেতে পারেন। 

পরীক্ষার দিনের অভিজ্ঞতা :

আমার পরীক্ষার দিনের অভিজ্ঞতা তাহলে বলি! আমার প্রথম এক্সামের সময় আমি একটা টেস্ট সেন্টারে গেলাম, সবকিছু ভালোমতোই আগাচ্ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় এক্সামের সময় আমাকে জিম্যাটে এর আগে হাই স্কোর পাওয়া একজন সাজেস্ট করলেন যে এক্সামটা অনলাইনে দিতে। জানেন কি হয়েছিল, এই এডভাইসটা আমার জন্য লাইফসেভার ছিল। আমি ঘরের জামা পরেই কমফোর্টেবলি এক্সাম দিতে পেরেছি, আমার নিজের কম্পিউটারে। রেডি হওয়া এবং অপরিচিত জায়গায় এক্সাম দেয়ার ঝামেলা নার্ভের উপর চাপ ফেলতে পারে। যেহেতু জিম্যাট এক্সামে খুব শার্প এটেনশনের দরকার হয়, বাসায় বসে এক্সাম দেয়াটা আমাকে ফোকাস ধরে রাখতে সাহায্য করেছিল। 

আমার অনলাইন এক্সামের সময়, যখন আমি ভার্বাল সেকশন নিয়ে মগ্ন ছিলাম, প্রক্টর হঠাৎ করেই আমাকে ইন্টারাপ্ট করলেন এবং ওয়েবক্যাম দিয়ে পুরো রুমটা দেখাতে বললেন। স্বীকার করতে হবে যে এটা আমাকে কিছুটা হতচকিত করেছিল। কিন্তু এসব হতেই পারে, এগুলোতে বিভ্রান্ত হয়ে খেই হারালে চলবে না। আনএক্সপেক্টেড ইন্টারাপশনের জন্য প্রিপেয়ার্ড থাকলেই চলবে। 

দুইটা এক্সামের সময়ই আমি যে কাজটা করতে ভুলে গিয়েছি তা হলো, ব্রেকের সময়টার জন্য পানি এবং লাইট স্ন্যাক্স যেমন বাদাম জাতীয় কিছু রাখা। আমার প্রথম এক্সামের সময় আমি রোজা রেখেছিলাম, তাই কিছু নিতে পারিনি। কিন্তু অনলাইন এক্সামের সময় আমি পানি নিয়েছিলাম, কিন্তু স্ন্যাক্স নেয়া হয়নি। আমি এটা শিওর যে যদি আমি কিছুটা ব্রেইনফুড জাতীয় খাবার কাছে রাখতাম, তাহলে আমার জন্য আরো কমফোর্টেবল এক্সপেরিয়েন্স হতো। তাই রিফ্রশড আর ফোকাসড থাকার জন্য আমি রেকমেন্ড করবো পানি আর স্ন্যাকস জাতীয় খাবার সাথে রাখার। এটা আসলেই বেশ কাজে দিবে! 

আরেকটা নোটিস করার বিষয় হচ্ছে টেস্ট সেন্টারে যেয়ে টেস্ট দিলে আপনার স্কোর রিপোর্ট তারা সাথে সাথে পাঠিয়ে দেয়। আমার বেলায় আমি বাসায় অনলাইন পরীক্ষা দেওয়ার ১০ দিনের ভেতরেও অফিশিয়াল স্কোর পাইনি। অনেক সময় এটা পেতে ২০ দিনও লেগে যায়, যা আসলেই কখনো কখনো বেশ ফ্রাস্ট্রেটিং। প্রক্টর কিংবা রিভিউ কমিটি যদি কোন ধরনের ইস্যু খুঁজে পান অনলাইন এক্সামের ক্ষেত্রে, তারা আপনার এক্সাম বাতিলও করে দিতে পারেন। আমি একজনকে দেখেছিলাম পোস্ট করতে যে সে ৭১০ স্কোর পেয়েছে অনলাইন এক্সামের ক্ষেত্রে, কিন্তু পরে এটা বাতিল হয়ে যায়। তাকে আবার পরীক্ষাটা দিতে হয়েছিল। আপনার এনভায়রনমেন্ট যদি চার ঘন্টার বাধাবিঘ্নহীন এক্সাম দেয়ার জন্য আইডিয়াল না হয়, এই ব্যাপারটা মাথায় রেখে অনলাইন টেস্ট দিবেন কি দিবেন না তা বিবেচনা করা উচিত। 

শেষে এটাই বলব যে, কন্সেপ্ট সম্পর্কে নিজের আন্ডারস্ট্যান্ডিং বাড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। যত বেশি পারেন প্র্যাকটিস করেন এবং পড়াশোনায় সময় দেয়াটা  আরো বাড়িয়ে দিন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে এটা মনে রাখবেন যে , এই পরীক্ষাটা একটা অপরচুনিটি যা আপনার প্রবলেম সলভিং এবং এনালিটিক্যাল স্কিল বাড়িয়ে আপনার ব্রেইনকে আপগ্রেড করতে সাহায্য করবে। 

আপনার দুর্বল জায়গাগুলো ইমপ্রুভ করতে ফোকাস করুন এবং আপনার স্ট্রং এরিয়াগুলোতে আরো এফিশিয়েন্ট হওয়ার চেষ্টা করুন। আমি একান্তভাবে চাই আপনার যেন বারবার জিম্যাট এক্সাম দেওয়া না লাগে। কিন্তু প্রথম এটেম্পটে যদি এক্সাম ভাল না হয় তবে হাল ছাড়বেন না। এটা আনকমন কিছু না, অনেক মানুষই আছে যারা দুর্দান্ত স্কোর করেছিল তাদের দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ কিংবা পঞ্চম এটেম্পটের বেলায়। হ্যা, দ্বিতীয় বা তৃতীয় বা যে কবারই এক্সাম দিতে যান না কেন ফিস প্রতিবার সেইমই হয়। কিন্তু মাস্টার্স ডিগ্রি বা এমবিএ এর জন্য জিম্যাট অপরিহার্য যা পরবর্তীতে আপনাকে অনেক বেটার ফাইনান্সিয়াল পজিশনে নিয়ে যাবে, তাই শেষের গোলটাই মাথায় রেখে কাজ করার চেষ্টা করুন। 

এইতো, আপনার জিম্যাট জার্নির জন্য আমার একান্ত শুভকামনা থাকলো, আপনি পারবেন! 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *